বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় যেকোনো ধরনের পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে স্থানীয় প্রশাসন।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলমের (রুটিন দায়িত্বে) স্বাক্ষরিত এক পত্রের আলোকে রুমা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের চারটি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। ক) যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে কোন হোটেল-মোটেলে পর্যটককে রুম ভাড়া দেওয়া যাবে না। খ) যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে কোন ট্যুরিস্ট গাইড পর্যটকদের কোন পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারবেনা। গ) যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে কোন জীপগাড়ি পর্যটকদের কোন পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারবেনা। ঘ) যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে নৌপথে পর্যটকদের কোন পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
এ ব্যাপারে থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনী অভিযান চলমান থাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে ওই সব এলাকাগুলোতে না যেতে বলা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও পর্যটকরা অনায়াসে যেতে পারবে।
উল্লেখ্য যে, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী। অভিযানে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ৪টি সাজোয়া যান (এপিসি)। রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, অস্ত্র-টাকা লুটের ঘটনায় যৌথ অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নারীরসহ ৫৮ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আপনার মতামত লিখুন :