রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সারা দেশেই সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করতে জোর দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি। দলটির অঙ্গ-সংগঠন ছাত্রদলের বেশিরভাগ কমিটিতেই এসেছে পরিবর্তন। ব্যতিক্রম নয় ঢাকা মহানগরসহ গুরুত্বপূর্ণ সাত কলেজের ইউনিট। সম্প্রতি সরকারি বাঙলা কলেজে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে ‘বিতর্ক’। পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, কেন্দ্র থেকে ‘সঠিক মূল্যায়ন’ করা হয়নি। ইতোমধ্যে কমিটি ইস্যুতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মত ঘটনাও দেখেছে বাঙলা কলেজ। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করলেও সেটা আক্ষরিক অর্থে বাস্তবায়ন হয়নি। এমন অবস্থায় ক্যাম্পাস পরিবেশে ‘ভয়’ পাচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
নতুন কমিটিতে যারা প্রত্যাশিত পদে আসতে পারেননি, তারাও যোগ্য। আসুন, সবাই একসঙ্গে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি করি।
— আহ্বায়ক, ছাত্রদল, বাঙলা কলেজ শাখা
বিদায়ী বছরের ২৩ ডিসেম্বর সরকারি বাঙলা কলেজ শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পরই পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বিক্ষোভ চলা অবস্থায় ক্যাম্পাসের সামনে ঘটে ককটেল বিস্ফোরণ। এরপর ২৯ ডিসেম্বর রাতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের সামনে মশাল মিছিল করেন। এ সময় ছাত্রদলের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবিরের ওপর পদবঞ্চিতরা ‘অতর্কিত হামলা’ করেন— এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।
বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির অভিযোগ করে বলেন, ‘‘২৯ ডিসেম্বর ক্যাম্পাস থেকে বাসায় যাওয়ার সময় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের কয়েকজন আমার ওপর অতর্কিত হামলা করেন। পদবঞ্চিত কয়েকজন নতুন কমিটি হওয়ার পর থেকেই ‘বিদ্রোহ’ করে আসছেন। তাদের ‘বিদ্রোহের ভাষা’ ছিল বাজে। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে ছাত্রদল। নতুন কমিটির সদস্যরা ‘বিদ্রোহীদের’ সঙ্গে দেখা করে তাদের পদায়নের ব্যাপারে কথা বলেছে। তারা আগামীতে কোনো বিশৃঙ্খলা না করার আশ্বাস দিয়েছেন।’’
কলেজ শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটির আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান শোনালেন আশার বাণী। তিনি বলেন, ‘‘বাঙলা কলেজ শাখার সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে পরিচালিত হবে ছাত্রদল। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঠিক পরামর্শগুলো সাদরে গ্রহণ করা হবে।’’
শিক্ষার্থীদের সেবায় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব সব সময় নিয়োজিত থাকবেন—এমন অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, ‘‘নতুন কমিটিতে যারা প্রত্যাশিত পদে আসতে পারেননি, তারাও যোগ্য। আসুন, সবাই একসঙ্গে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি করি।’’
পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের একজন কলেজ শাখার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন সরদার। তিনি বলেন, ‘‘চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, আমার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ তুলতে পারবে না যে আমি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম না। দলের প্রয়োজনে যে কোনো স্বার্থে আমি সব সময় সক্রিয় ছিলাম। শুধু একা নই, আমার সঙ্গে যারা সাবেক কমিটিতে ছিলেন, তাদের কাউকে কমিটিতে রাখা হয়নি।’’
তার অভিযোগ, শুধু কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যাদের ‘ভালো সম্পর্ক’, তাদের নিয়েই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ১৫ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে যারা কখনোই ছিলেন না, এমন ব্যক্তিদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি, অছাত্র, বিবাহিত, ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং অপরিচিতদের নিয়ে আহ্বায়ক ও আংশিক কমিটি গঠন হয়েছে।’’
তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দাবি, ত্যাগীদের দিয়েই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা সংখ্যায় ‘কম’।
হামলার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে মিলন সরদার জানান, নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের সামনে মশাল মিছিল করতেছিল। একই সময় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা তাদের ওপর হামলা করেন। এরপর বিচ্ছিন্নভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক একই সময় যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, যিনি আগে ‘ছাত্রলীগকর্মী’ ছিলেন, তিনি দৌড়ে পালাতে চাইলে স্থানীয় লোকজন মারধর করেন। আর এই মারধরের অভিযোগ পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। অথচ পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাকে সেখান থেকে রক্ষা করে ফার্মেসি থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিরাপদে বাসায় পৌঁছে দেয়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমানকে এর আগে নানা অপকর্মের কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।’’
মিলন সরদারের দাবি, বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব ফয়সাল রেজা বিবাহিত, একাধিক নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত, এমনকি নারী নির্যাতনের অভিযোগেও অভিযুক্ত। এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে ভুক্তভোগী নারী সশরীরে উপস্থিত হয়ে পার্টি অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাকে কমিটিতে রাখা হয়।
ঘটনার সত্যতা জানতে মোখলেছুর রহমানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সদস্য সচিব ফয়সাল রেজার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কখনো কোনো ধরনের নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে এ ধরনের অভিযোগ পেশ করে আমাকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে। আমি এখনো অবিবাহিত।’’
বাঙলা কলেজ শাখার কমিটি ঘিরে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘‘জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একটি বৃহত্তর সংগঠন। আন্দোলন সংগ্রামের দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় অসংখ্য ছাত্রদল নেতা নিজ নিজ ইউনিটের শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। কিন্তু সাংগঠনিক কাঠামোর কারণে আমরা সবাইকে প্রত্যাশিত পদে দিতে পারছি না। কিন্তু যারা প্রত্যাশিত পদ পায়নি, তারা যোগ্য নয় এমন না। পদবঞ্চিত হলে বা যথাযথ মূল্যায়ন না হলে যদি কেউ ক্ষুব্ধ হয় তাহলে তার ক্ষোভের প্রকাশ অবশ্যই গণতান্ত্রিক রীতি এবং সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করতে হবে। কোনোভাবেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা যাবে না। আমাদের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান সাংগঠনিক শৃঙ্খলার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। আমরাও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো মাত্র ৪৫ দিনের জন্য সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। অর্থাৎ, আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সম্মেলন আয়োজন করে বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নেতৃত্ব বাছাইয়ের ব্যবস্থা করে বর্তমান শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব হস্তান্তর করবেন। এই কমিটির দায়িত্ব মূলত ৪৫ দিনের মধ্যে বর্তমান শিক্ষার্থীদের হাতে নেতৃত্ব হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা।’’
ছাত্রদলের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আকার সেশন অনুসারে সমন্বয় করেই দ্রুত বৃদ্ধি করা হবে।’’
ক্যাম্পাসের অন্য সংগঠনগুলো কী বলছে
বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি জাহিদ হাসান ‘ছাত্রদল’ ইস্যুতে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, যারা বৈধ শিক্ষার্থী, তারাই ক্যাম্পাসে থাকবেন।
ছাত্ররাজনীতি ঘিরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, এক্ষেত্রে করণীয় কী — জানতে চাইলে শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, ‘‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার স্বার্থে ছাত্রশিবির সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে। প্রয়োজনে নিজেদের জীবন বাজি রেখে ক্যাম্পাসের প্রশাসন ও সকলের সঙ্গে কাজ করবে। ক্যাম্পাসের প্রশাসন ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের পাশে থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ছাত্রশিবির এমন কোনো কাজ করবে না, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।’’
সভাপতির সঙ্গে একই সুরে কথা বলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসান। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির একটি আদর্শবাদী ছাত্র সংগঠন। আমরা মনে করি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিজয় সাধারণ ছাত্র-জনতার। আমরা মনে করি, সাধারণ ছাত্র সমাজের আন্দোলনের পাশাপাশি অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো যোগ দিয়েছিল বিধায় এই বিজয় অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আমরা কখনোই মনে করি না, এটা আমাদের একান্ত নিজেদের। যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের মাধ্যমে যদি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলো পরিচালিত হয়, তাহলে কখনোই বিশৃঙ্খলা এড়ানো সম্ভব নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা স্বার্থে ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রতিটি কর্মী এবং সদস্য সর্বদা সক্রিয় থাকবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে কোনো কর্মসূচি দিলে ইসলামী ছাত্রশিবির সর্বদা পাশে থাকবে। আর পরিস্থিতি যদি আরো ঘোলাটে হয়, সেক্ষেত্রে ছাত্র শিবির এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রস্তুত।’’
কমিটিকে ইস্যু করে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলাকে ‘দুঃখজনক’ বললেন বাঙলা কলেজ শাখার ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকাশ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘এটা মেনে নেওয়ার মত না। ক্যাম্পাস ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা স্বার্থে ছাত্র অধিকার পরিষদ সব সময়ই সোচ্চার থাকবে। যে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা প্রস্তুত আছি ইনশাআল্লাহ।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের দ্বারা ক্যাম্পাসে কখনো অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হবে না। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীরাও কখনো আমাদের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হবেন না।’’
সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আপনারা ছাত্রদলের কমিটি দেওয়ার সময় আরেকটু বিচার-বিশ্লেষণ করে দেবেন। যাতে করে কমিটি দেওয়ার পরবর্তী সময়ে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে।’’
এদিকে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিপক্ষে মত দেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন বাঙলা কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম।
তার দাবি, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ মানে অপশক্তিকে সুযোগ করে দেওয়া। এমনকি ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংগঠনকেও ছাত্ররাজনীতির বাইরের বলা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাচ্ছি লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হোক। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ছাত্ররাজনীতি চালু হোক। যাতে করে ছাত্ররাজনীতি কোনো শিক্ষার্থীর কাছে ভয় বা আতঙ্কের কারণ না হয়।’’
ছাত্রদলের কমিটি ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা হয়েছে। সেখানে কে পদ পেয়েছেন বা কে পাননি, সেটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেখার বিষয় নয়। এটা বাঙলা কলেজ থেকে দেওয়া হয়নি। বরং, সেন্ট্রাল থেকে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং তারা আন্দোলন করলে সেন্ট্রালে গিয়ে করবেন। বাঙলা কলেজের সামনে আন্দোলন করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলছি। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে যাতে করে ছাত্রদের অকল্যাণকর কিছু না হয়, সেই বিষয়ে খেয়াল রেখেই আমরা রাজনীতি করছি।’’
সামগ্রিক বিষয়ে বাঙলা কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল হাসান বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের বাইরে তাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় তারা এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। তাদের উচিত ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রাখা। রাজনৈতিক দলগুলোর বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ড কলেজ প্রশাসন কখনো সমর্থন করে না। সরকারি বাঙলা কলেজকে একটি শিক্ষাবান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে কলেজ প্রশাসনকে সহযোগিতা করা শিক্ষার্থীদের নৈতিক দায়িত্ব।’’
আপনার মতামত লিখুন :