মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমে যাওয়ায় সারাদেশে বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। ফলে দেশের কোথাও ভারী আবার কোথাও হালকা বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বুধবার (১০ জুলাই) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তবে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিন সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, দেশে মৌসুমি বায়ু এখন মোটামুটি সক্রিয়। পুরোপুরি সক্রিয় হলে সারাদেশেই ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা থাকে। বর্তমানে মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাস জানিয়ে তিনি বলেন, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এসময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আগামী সাপ্তাহ থেকে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
এদিকে, মঙ্গলবার সারাদেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে রাঙ্গামাটিতে ২৪ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১ মিলিমিটার। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রংপুরের সৈয়দপুরে।
আপনার মতামত লিখুন :