অনেকেই ব্যস্ততার জন্য নিয়মিত বাজারে যেতে পারেন না। হয়তো অফিস থেকে ফেরার সময় টুকটাক কেনাকাটা করেন। কিন্তু সেটাও সব সময় হয়ে উঠে না। ফলে ছুটির দিন ছাড়া বাজার করার উপায় থাকে না।
সপ্তাহান্তে বাজার গিয়ে সব জিনিস একেবারে কিনে আনলে সেগুলি থরে থরে ফ্রিজে সাজিয়ে রাখতে পারলেই নিশ্চিন্ত। প্রথম এক-দু’দিন ফ্রিজে রাখা খাবার স্বাভাবিক মনে হলেও বদল ঘটতে থাকে কিছু দিন পর থেকে। খাবারের স্বাদ বদলাতে থাকে। সেই সঙ্গে গুণমানও। এমন কয়েকটি খাবার আছে যেগুলি ফ্রিজে রাখলে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকে।
কলা: কলা সব সময়ে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে হবে। ঘরের তাপমাত্রায় কলা কাঁচা থাকলেও তা পেকে যাবে। কোনও ক্ষয় হবে না।
পাউরুটি: বেশি দিন পাউরুটি ভাল রাখতে অনেকেই ফ্রিজে রেখে দেন। এতে পাউরুটি আরও বেশি করে শুকিয়ে যায়। এর গুণমানও চলে যায়। তাই পাউরুটি ফ্রিজে না রাখাই ভাল।
মধু: দীর্ঘ দিন মধু সংরক্ষণ করতে অনেকেই তা ফ্রিজে রেখে দন। মধুর স্বাদ ও গুণাগুণ এর ফলে নষ্ট হতে থাকে। তাই ফ্রিজে না রেখে বরং একটি অন্ধকার কোনও জায়গায় রাখতে পারেন। মধু অনেক দিন পর্যন্ত ভাল থাকবে।
তরমুজ: বাইরের গরম থেকে ফিরে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা তরমুজ খেলে যেন প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। তবে তরমুজ কেটে ফ্রিজে রাখা একেবারেই উচিত নয়। তরমুজের উপকারী গুণ এতে নষ্ট হয়ে যায়। ফল সব সময় টাটকা খাওয়া ভাল।
আলু: ফ্রিজে না রেখে আলু সব সময়ে ঝুড়িতে করে খোলা জায়গায় রাখলেই ভাল। ফ্রিজের তাপমাত্রা আলুতে থাকা কার্বোহাইড্রেটকে নষ্ট করে দেয়। রান্না করার পর আলুর স্বাদ বদলে যেতে থাকে।
মন্তব্য করুন: