ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

বিআইডব্লিউটিএ যেন আরিফের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্য

বার্তাজগৎ২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৪

বিআইডব্লিউটিএ যেন আরিফের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্য

চিত্রে: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের চেষ্টায় মন্ত্রীর বাসায় গোপন বৈঠকে আরিফ

বাংলাদেশ সরকারের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিএ। এই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে কতিপয় কর্মকর্তা মিলে একটি শক্তিশালী দুর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। বিগত সরকারের আমলে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৎকালীন নৌ পরিবহন মন্ত্রী কে ম্যানেজ করেই মূলত লুটপাটের এই মহাযজ্ঞ চালিয়েছে সিন্ডিকেটটি। এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা হচ্ছে এ কে এম আরিফ উদ্দিন। বর্তমানে যিনি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে একই সাথে দুটি পদ দখল করে আছেন। আওয়ামী সরকারের বিশেষ সহযোগী আরিফ উদ্দিন বর্তমানে বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এবং স্টেট বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত) দায়িত্ব হিসেবে বিআইডব্লিউটিএতে কর্মরত আছেন। আওয়ামী লীগের খাঁস লোক হিসেবে পরিচিত এ কে এম আরিফ উদ্দিন দুই দফায় তৎকালীন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান এবং খালেদ মাহমুদকে ম্যানেজ করেই তৈরি করেছিলেন নিজের সুপার পাওয়ার।

স্বৈরাচার সরকারের পতন হলেও খোলস পাল্টে বিএনপির লেবাসধারী আরিফ উদ্দিন এখনো রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার ক্ষমতার প্রভাব এতটাই বেশি যে জেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রমোশন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সু কৌশলে বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক পদে পদোন্নতি নেন অতি স্বল্প সময়ে। যেখানে বয়জেষ্ঠতার ভিত্তিতে এই পদোন্নতির জন্য আরও সিনিয়র অফিসার বিদ্যমান ছিলেন। আরিফের ক্ষমতার প্রভাব এতটাই বেশি যে তিনি একই সাথে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ল্যান্ড ও স্টেট বিভাগের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন, যেটি এখন পর্যন্ত সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নয়। সরকার কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়ায় এই পথটি বিআইডব্লিউটিএ এর পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হতো।

কিন্তু অনেকটা কৌশলগত ভাবে সাবেক চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পদটি নিজে দখল করেন যা কর্তৃপক্ষের বিধি বহির্ভূত। স্টেট ও আইন বিভাগের পরিচালক হিসেবে যে রুমটি ব্যবহৃত হচ্ছে সেরমটি তিনি আনুমানিক সাত থেকে আট লক্ষ টাকা ব্যয় করে ডেকোরেশন করেন যার একটি টাকাও সরকার থেকে পাওয়ার কথা নয়। রুমটির ডেকোরেশন একজন মন্ত্রীর অফিস রুম কেও হার মানাবে বলে অনেকের অভিমত। একই সাথে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুবাদে তার নেতৃত্বে দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তাগণ পরস্পর যোগ সাজোশে একের পর এক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ঘুরেফিরে এরা এদের গৃহপালিত কর্মকর্তাদেরকে প্রকল্প পরিচালক বানিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়েছে। যেটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা সাপেক্ষে প্রমাণ করা সম্ভব। সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান ও খালেদ মাহমুদকে নির্দিষ্ট পরিমাণে লভ্যাংশ দিয়েই চলত আরিফ উদ্দিনের দুর্নীতির কর্মকাণ্ড।

খুনি হাসিনার দপ্তরে শক্ত যোগাযোগ বজায় রেখে চলতে আরিফ উদ্দিন। শেখ হাসিনার জন্মদিনে তুরাগ নদীতে নৌকা বাইচের আয়োজন করে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে নিজেকে পরিচিতি লাভ করান আরিফ, অন্যদিকে নিজের পকেটস্থ করেন সরকারি তহবিলের কোটি কোটি টাকা। আরিফ উদ্দিনের স্ত্রী শামিমা দিবা ছেলে সাদ ও মেয়ে আরিন সবাই দেশের বাইরে বসবাসরত। যদিও তার স্ত্রী প্রায়ই যাতায়াতের মধ্যে থাকেন। এ কে এম আরিফ উদ্দিন বুড়িগঙ্গা তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের নামে শত কোটি টাকা বাণিজ্য করেছেন বলে জনশ্রুতি আছে।

আরিফ উদ্দিন দীর্ঘ দুই বছর যাবত উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনাকালীন সময়ে নারায়ণগঞ্জের পাগলায় চায়না কোম্পানির দুটি জাহাজ নিলামে দেয়, গাবতলী ল্যান্ডিং স্টেশন এর পাশে রাস্তায় পার্কিং করে রাখা ১৭টি ট্রাক নিলামে দেয়। যার ফলশ্রুতিতে বিআইডব্লিউটিএর মতিঝিলস্থ প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে বাংলাদেশ ট্রাক মালিক এসোসিয়েশন এর প্রায় ১০০০ লোক এবং তারা আরিফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারন এর দাবি তোলেন সেইসাথে ১৭ টি ট্রাক ফেরত চেয়ে চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি লিপি প্রদান করেন। যার প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান বিআইডব্লিউটিএ‍‍`র অর্থ বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেন। যে কমিটির সুপারিশক্রমে ট্রাক মালিকদের ১৭ টি ট্রাকের ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ দেওয়া হয় বিআইডব্লিউটিএর ফান্ড থেকে। কিন্তু আরিফ উদ্দিনকে এ বিষয়ে কোন জরিমানা বা শাস্তি প্রদান করা হয় না।

উচ্ছেদ কালীন সময়ে চকবাজার থানা এলাকার পূর্ব ইসলামবাগের ক্ষতিগ্রস্ত বা ৫২/২ সি, ৫৮/৩, ৫৮/১, ৫৮/১২ বি, ৫৭/১ খ, ৫৭/৩ হোল্ডিং নাম্বারগুলোর ভবন মালিকরা জানান তাদের ভবনগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এমনকি ভবনগুলো ভাঙার সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। ভবনে বসবাসকারী মানুষদেরকে ভবন থেকে বের হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয়নি যার কারণে সেখানে প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হয়। আর এই ভবনগুলো ভাঙার নেতৃত্ব দেন আরিফ উদ্দিন। মূলত তাদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয় তারা তা না দিতে পারার কারণে এমনটা করেছে বলে জানা যায়। ২০১৮ সালের ৫ই আগস্ট সদরঘাট বাইতুন নাজাত মসজিদ ও মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে বিশাল সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটান আরিফ উদ্দিন। পরবর্তীতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, অতিরিক্ত ডিআইজি ও লালবাগের ডিসির উদ্যোগে সেই সংঘর্ষের অবসান ঘটানো হয়। উচ্ছেদকালীন সময়ে পার্শ্ববর্তী অনেক ভবন ভাঙ্গা হলেও এক কোটি টাকার বিনিময়ে বুড়িগঙ্গা নদীর ঠোঁড়ার মুখ এলাকায় নদী ভরাট করে নির্মিত ৪ ইউনিটের ১০ তলা ভবন ভাঙ্গা থেকে বিরত থাকেন আরিফ উদ্দিন।

যে বিষয়ে স্থানীয় অনেকেই অবগত আছেন। আলোচিত পরীমনি কান্ডের বোট ক্লাব টি আশুলিয়ায় তুরাগ নদীর একটি নির্দিষ্ট অংশ ভরাট করে নির্মাণ করার সুযোগ করে দেন আরিফ উদ্দিন। যে বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় আসার পরেও উচ্ছেদের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা যায় এখান থেকেও তিনি বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেন বলে জানা যায়। উল্লেখ্য ঢাকার চারদিকে নদীর সীমানা পেলার স্থাপন করার সময় বোর্ড ক্লাব থেকে এড়িয়ে যাওয়া হয় যে কারণে বোট ক্লাব এলাকাকে পাশ কাটিয়ে কান্ট্রি সাইডে পিলার দেওয়া হয় যা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হওয়া সম্ভব। পিকনিকের লঞ্চে আর্মি অফিসার ও সচিব কে লাঞ্ছিত করা সহ ব্যাপক অপকর্ম করেছেন আরিফ উদ্দিন। নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরে কর্মকালীন সময়ে ২২ টি মত মামলা হয়েছিল আরিফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। কাঁচপুরে নদীর তীরে বালুভরাটের কাজে মামলা হলে তাকে শোকজ করেন বিআইডব্লিউটিএর তৎকালীন চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হক।

আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কোটি কোটি টাকা ডোনেশন দিয়েছেন বলে জানা যায়। এমনকি এই বিষয়ে মন্ত্রীর বাসায় গোপন মিটিংয়ে ও বসে ছিলেন আরিফ উদ্দিন। চার কোটি টাকা কন্টাক্ট নিয়ে মদনগঞ্জ ট্রলার ঘাটের পাশে শীতলক্ষার পূর্বপারে মাহফুজুল ইসলামের আলিনা ডকীয়ার্ড শাকিলদের মুন্সি ডকইয়ার্ড, সহ আরো কয়েকজনের ডকইয়ার্ড অবৈধভাবে উচ্ছেদ করে কর্ণফুলী ডক ইয়ার্ড কে জমি বুঝিয়ে দেন আরিফ উদ্দিন। এই ঘটনায় উচ্চ আদালতে রিট করেন মাহফুজুল ইসলাম। একপর্যায়ে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৩৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আরিফ উদ্দিন মীমাংস করে দেন এক ডকইয়ার্ড মালিকের সাথে। যেখানে মধ্যস্থতা করেন নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম। উল্লেখ্য বিআইডব্লিউটিএর ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি কর্তৃক প্রস্তাবিত ২৯১ শতাংশ ফোরসরের পরিবর্তে ৬৬৭ শতাংশ ফোরসর হিসাব করে জায়গা বুঝিয়ে দেন কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সকে।

চিত্রে : শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকীতে মন্ত্রীর সাথে শোকাহত আরিফ

 

ইতিমধ্যে আরিফ উদ্দিনের নামে দুদকে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে
যার স্মারক নং- ০০.০১.২৬০০.৬০৩.০১.২৩৪.২৩-৩২১৭ এ দুর্নীতি দমন কশিনের উপ-পরিচালক মো: হাফিজুল ইসলাম (অনু ও তদন্ত-২) টিমের পক্ষ থেকে ০৩/০৯/২০২৩ ইং তারিখে পরিচালক (প্রশাসন) বিআইডব্লিউটিএ বরাবরে এক পত্রে একেএম আরিফ উদ্দিন ওরফে আরিফ হাসনাত, যুগ্ম পরিচালক, বন্দর ও পরিবহন বিভাগ, বিআইডব্লিউটিএ, ঢাকা কর্তৃক নানাবিধ দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সুষ্ঠ অনুসন্ধানের জন্য মাঠে নামে।

দুদকের চাহিদা পত্রে যে সমস্ত কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে তা হলো বিআইডব্লিউটিএ আওতাধীন নারায়নগঞ্জ পোর্ট হইতে ১/১/১৯-৩১/১২/২২ তারিখ সময়ে সদরঘাট পোর্ট হতে ১/১/২০২০-৩১/১২/২২ তারিখ সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক খাতের হিসাবের বিবরনী চাওয়া হয় এ ছাড়াও জনাব আরিফ হাসনাতের ব্যক্তিগত নথি, উত্তোলিত বেতন ভাতার বিবরন (শুরু হইতে জুন/২৩ সময় পর্যন্ত) দায় দায়িত্ব সম্পর্কীত অফিস আদেশ সমূহ তার নিজ স্ত্রী/সন্তান/ভাই গনের নামে ব্যবসা/শেয়ার পরিচালনায় আবেদন এবং অনুমোদন সংক্রান্ত সমুদয় রেকর্ডপত্র। এ.কে.এম আরিফ উদ্দিন ঢাকার ৩০১ এলিফ্যান্ট রোডে তার স্ত্রী শামীমার নামে রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ী, বারিধারা বসুন্ধরাতে ব্লক সি তিনি প্রসাদতম ফ্ল্যাটে বসবাস করে, পাশে ১টি ফ্ল্যাট ক্রয় করে ভাড়া দেওয়া রয়েছে।

এছাড়াও তার নামে ও তার পরিবারের নামে পাবনাতে রয়েছে অসংখ্য সম্পত্তি, সুজানগর পাবনাতে রয়েছে অঢেল সম্পদ। পূর্বাচলে প্লট, বসুন্ধরা অংশীদারিত্বে ১টি বিল্ডিং এর কাজ চলমান। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর শাজাহান খান নৌপরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্ব পেলে আর পেছন ফিরে তাকানো লাগেনি আরিফ উদ্দিনের। একটানা বন্দর ও পরিবহন বিভাগে চাকরী করে আসছেন। নারায়ণগঞ্জ এবং সদরঘাটে থাকাকালীন সময়ে ঘাট ইজারা দিয়ে, ফোরশোর লীজ এবং ঘাটের ইজারাদারকে দিয়ে কোর্টে মামলা দিয়ে ইজারার পরিবর্তে ঘাট খাওয়ানোর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেন।

ছেলে আমেরিকা এবং মেয়েকে লন্ডনে পড়াশোনা করাচ্ছেন আরিফ উদ্দিন। নতুন করে তার বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ দাখিল হয়েছে গত ২৮-০৮-২৪ বুধবার মোঃ জাকির হোসেন নামক জনৈক ব্যক্তি বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। সেখানে তার সম্পদের বিবরন তুলে ধরা হয়েছে এভাবে সে গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করেছে। এছাড়াও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছাত্রদের কোটা বিরোধী আন্দোলনে ব্যবহার করেছে। যা সঠিকভাবে তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে। তার সম্পদের তথ্য

১. নারায়নগঞ্জ পোর্টে ৪ বছর চাকুরি করে ২০০ কোটি টাকা সম্পদ অর্জন।

২. স্ত্রীর নামে কর্ণফুলি শিপইয়ার্ড নারায়নগঞ্জের শেয়ার রয়েছে।

৩. স্ত্রীর নামে নারায়নগঞ্জ পোর্টে রয়েছে ডকইয়ার্ড।

৪. সদরঘাট পোর্টে চাকুরিকালীন সময়ে কয়েকশো কোটি টাকা লোপাট।

৫. দুই স্ত্রীর নামে রয়েছে এলিফ্যান্ট রোর্ডে ৫ তলা কমার্শিয়াল বিল্ডিং, বসুন্ধরায় জমি, ফ্ল্যাটসহ শত কোটি টাকার সম্পদ। ভাইয়ের নামে বিপুল সম্পদ।

৬. ঢাকার নদী উদ্ধারের নামে কয়েকশো কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন।

৭. দুই স্ত্রী ছাড়াও অসংখ্য গার্লফেন্ড।

৮. ব্রিটেনে বাড়ি এবং বিপুল অর্থ পাচার করেছে।

৯. কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক।

১০. ছেলে-মেয়েদের লন্ডনে পড়াশোনার পিছনে বছরে কোটি টাকা খরচ করে।

১১. পাবনা সদর, স্কয়ার রোড,শালগাড়িয়া,পাবনাতে ৬ তলা বাড়ি।

১২. পাবনা সদর, কাচারী পাড়ায় ৫ তলা বাড়ি।

১৩. পাবনা সদর, সাধুপাড়ায় ৪ তলা বাড়ি।

১৪. আলিশান বাড়ি ক্রয়: মালিকের নাম নাদিরা, বাড়ি নং ৩৭,রোড নং -৪, ব্লক-সি, ওয়ার্ড -৩০, মনসুরাবাদ হাউজিং মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

১৫. ফ্ল্যাট নং- ৪৭/৫৫, রোড- ২/এ, ব্লক- সি, ৩৬০০ স্কয়ার ফিট। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা, বর্তমান এখানে বসবাস করছেন।

১৬. বাড়ি নং ৩০১, মুল্য ২২ কোটি টাকা। এলিফেন্ট রোড, ঢাকা। এই বাড়িটি স্ত্রীর নাম ক্রয় করেছেন।

১৭. বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বিল্ডিং এ ৮ টি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। ব্লকঃ বি-হোল্ডিং নং-৪৭,৪৮,৫২,৪১।

১৮. নিজ জেলা পাবনা সুজা নগর মৌজা-বনখোলা,ঘেতুপাড়া, রামপুর, হাটখালি, খেতুপাড়া এলাকায় জমি কিনেছেন প্রায় ২০০ বিঘা।

১৯. তিনি যেখানে অফিস করেন সেখানে তিনটি রুম ডেকোরেশন করে এসি লাগিয়েছেন। খরচ করেছেন ২৪/২৫ লক্ষ টাকা। অথচ: সেখানে তিনি বসেন না।

এছাড়াও ঢাকার নদী সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের স্থাপনা উচ্ছেদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হাজার কোটি টাকা আয় করেন আরিফ হাসনাত।

বার্তাজগৎ২৪

Link copied!