নভেম্বর ২৫ সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পুলিশের দুর্বলতা ছিল বলেই ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ঘটনাটি সংঘর্ষের দিকে গেছে, এটা স্বীকার করছি। পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সংঘর্ষে জড়ায়নি।
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, পুলিশ একটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় আছে, সেই জায়গায় যখন এত এত শিক্ষার্থী নেমে এসেছে, পুলিশ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারত। পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সংঘর্ষে জড়ায়নি। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। পুলিশকে আরও সক্রিয় করতেই আমরা রদবদল করছি। কারও ব্যর্থতা থাকলে তাদেরও পরিবর্তন করব।
একই প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, কয়েক দিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন কলেজে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। ঢাকা কলেজেও এ রকম ঘটনা ঘটতে দেখেছি। আমরা বার বার আহ্বান জানাচ্ছি কোনো প্রকার উসকানিতে পা না দিতে। ছাত্ররা যেন ধৈর্য সহকারে যেকোনো সমস্যা কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধান করে।
তিনি বলেন, আজ মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, ছয়দিন আগে থেকে এর সূত্রপাত। একজন শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ও সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ থেকেই এ ঘটনা ঘটে। সেটা ছিল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর হামলায় কারা কারা জড়িত, সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে। এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
আসিফ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করেছে সংঘর্ষ এড়াতে। আমরা দেখেছি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাতজন ও মাহবুবুর রহমান কলেজের তিনজন নিহতের খবর রটেছিল। এখন পর্যন্ত নিহত হওয়ার কোনো খবর আমরা পাইনি। কোনো গণমাধ্যমেও এ খবর পাইনি। তবে অনেকে আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাল তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :