"টাঙ্গাইলের গৌরব মোবাশ্বের হোসেন রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে হয়ে উঠেছেন ছাত্র শিক্ষকদের মধ্যমণি"
মোবাশ্বের হোসেন ১৯৬৫ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ১৯৬৩ সালে ভারত থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের দারুল হাদিস মাদ্রাসায় প্রায় আট বছর শিক্ষকতা করেন। অতঃপর উত্তর যাত্রাবাড়ীতে মাদ্রাসা মোহাম্মদীয়া আরাবিয়াতে প্রায় ২০ বছর শিক্ষকতা করেন।চাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্মগ্রহণ করলেও স্থায়ীভাবে তিনি বাবা-মায়ের সাথে টাঙ্গাইলের দেল দুয়ারে বসবাস শুরু করেন। তার বাবা-মা ভারত থেকে আসলেও যথাযথ প্রক্রিয়ায় তারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন তাঁর বাবা ও মায়ের এনআইডি ও পাসপোর্ট বাংলাদেশী। তার পিতা-মাতা উভয়েই টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন। শিক্ষক পিতার আদর্শ সন্তান হিসেবে শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। ১৯৯০ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৪ বছর শিক্ষকতার মহান দায়িত্ব যথেষ্ট সুনামের সাথে পালন করে আসছেন তিনি। রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত এপ্রিল মাসে মোবাশ্বের হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য তিনি দীর্ঘদিন ধরে একই কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি প্রথমে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং যথানিয়মে প্রোমোশন পেয়ে যথাক্রমে সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি অর্জন করেন।
যুদ্ধকালীন সময়ে ১৯৭১ সালে লেখাপড়ার জন্য ভারতে নানার বাড়িতে গমন করেন, তিনি।
সেখান থেকে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক সম্পন্ন করার পরে দেশে ফিরে আসেন।
মেধাবী মোবাশ্বের হোসেন ১৯৯১ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জগন্নাথ কলেজে (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) মাস্টার্সে ভর্তি হন। উক্ত পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কলেজ,ইডেন কলেজ, বরিশাল বিএম কলেজ, ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ এরকম প্রায় আটটি কলেজের ৮৫০ জন শিক্ষার্থী একসাথে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যেখানে তিনি কলেজ ভিত্তিক ফলাফলে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।
মূলত মোবাশ্বের হোসেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক ও কর্মচারী এবং প্রায় সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। এ বিষয়ে কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায় অধ্যক্ষ মোবাশ্বের হোসেনের আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতায় কলেজের সার্বিক অবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হচ্ছে এবং আরো বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান মোবাশ্বের হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এই কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময় থেকে তার সাথে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর সখ্যতা গড়ে ওঠে, যা অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে আরো বেশি বৃদ্ধি পায় এবং তারা তাদের সুবিধা-অসুবিধা অভাব অভিযোগের কথা সহজেই অধ্যক্ষের কাছে তুলে ধরতে পারেন। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কলেজে কর্মরত কর্মচারী কর্মকর্তা সকলের সাথে তিনি যথেষ্ট আন্তরিক বলে জানা যায়।
এ কারণে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ছাত্র শিক্ষক সহ কলেজের সকলের কাছে ভালোবাসার মানুষে পরিণত হয়েছেন অধ্যক্ষ মোবাশ্বের হোসেন।
আপনার মতামত লিখুন :