প্রযুক্তি নির্ভর বতর্মান আধুনিক যুগে ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন সহজ হয়েছে, তেমন অসুবিধাও হয়েছে। ইন্টারনেটের কারণে কিশোর- কিশোরী, যুবক-যুবতীদের হাতে হাতে শোভা পাচ্ছে স্মার্টফোন। এই স্মার্টফোন ফোন ব্যবহার যশোরের শার্শা উপজেলা সহ দেশের সব অঞ্চলে দেখা যায় ব্যাপক হারে। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ঝুকছে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে।
শিক্ষকদের চোখ এড়িয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ ফাঁকি দিয়ে টিকটক ব্যবহার, ফ্রি ফায়ার সহ ভিডিও গেম খেলার তালে ব্যস্ত থাকছে অধিকাংশ সময়।
আবার বাসাবাড়িতে পিতা মাতা ও অভিভাবকদের ফাঁকি দিয়ে নির্জন জায়গায় বসে দলে দলে কিশোর, যুবকদের গেম খেলতে দেখা যায়।
তারা পড়াশোনার চাইতে ফোনে গেম খেলায় মনযোগী হয়ে উঠেছে বেশি। ফোন চালাতে ইন্টারনেট ও এমবি না থাকলে ফোন চলে না। এই এমবি কিনতে পিতা-মাতার পকেট খালি করছে গেম পিপাসু সন্তানরা। আর লাভবান হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা।
স্মার্ট ফোন ব্যবহারের কারণে যুবক, যুবতীরা নেটের মাধ্যমে অশালীন কথা বার্তা, ভিডিও চ্যাট করছে। অজানা অচেনা যুবক, যুবতীদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক, পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছে প্রতিনিয়ত।
মোবাইল প্রেম মানছে না কোন বয়সসীমা। উঠতি বয়সী যুবক, যুবতীরা বড় ভাই, বড় বোন, এমনকি মায়ের বয়সীদের সাথেও অদৃশ্যভাবে মোবাইলে প্রেমের ফাঁদে পড়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিচ্ছে অহরহ। এই খপ্পড়ে পড়ে প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। শুধু তাই নয় অভিভাবকদের সামর্থ থাক বা না থাক স্মার্ট ফোন কিনে দিতে ব্যর্থ হলে, অনেক সময় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে।
লেখাপড়া ফেলে প্রেমের অভিসারে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে প্রেমিক প্রেমিকারা।
সমাজে অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে যুবক-যুবতীরা। এমনকি নেটের মাধ্যমে জুয়া খেলার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে।
প্রেম ভালোবাসার টানে অপ্রাপ্ত বয়সী শিক্ষার্থীরা সংসার জীবনে পা রাখতে বাধ্য হচ্ছে। দেশে বাল্য বিবাহ ও নিরক্ষরতা বৃদ্ধি পাওয়া এটিও একটি বড় কারণ।
মোবাইল ব্যবহারকারী সন্তানদের সাথে পিতা-মাতা, অভিভাবকদের সাথে প্রায়ই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছে। সন্তানদের এহেন কর্মকাণ্ডে দুশ্চিন্তাই পড়েছে সমাজের অভিভাবক মহল।
তাই সচেতন মহলের অভিমত মোবাইল ব্যবহারে সরকারিভাবে কড়াকড়ি আরোপ করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার।
লেখক : বেনাপোল প্রতিনিধি
আপনার মতামত লিখুন :